প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে বিএনপি-জামায়াত এবং ১/১১-এর কুশীলবরা পরাজিত হয়েছে। এখনো শকুনের নজর রয়েছে, তাই সাবধান থাকতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা গত নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে তারা সেটা করতে সক্ষম হয়নি।
তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ ছিলেন। সংকটের সময়ে ধৈর্য ধরেছেন এবং সব চাপের মধ্যে অবিচল থেকেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়েও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওয়ান-ইলেভেনের সংকটের সময়ে যখন দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল, সেই সময় তিনি দলকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে সুসংগঠিত করে রেখেছিলেন। সব প্রতিকূলতার মধ্যে অবিচল থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভালোবাসতেন এবং তার প্রতি আস্থা রাখতেন। তিনি অনেক চাপের মধ্যে থেকেও কখনো বিচলিত হননি। জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে শুধু শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন তা নয়, খালেদা জিয়াও কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে থাকা অবস্থায় কখনো বিচলিত হতে দেখিনি। যদি শেখ হাসিনা না থাকতেন তাহলে গণতন্ত্রের মুক্তি হতো না।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের একজন সেরা রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতিতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যেখানে যে পরিবেশ, সেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তিনি রাজনীতি করতেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আদর্শ ও নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ সারা জীবন মনে রাখবে। আওয়ামী লীগের হাল ধরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অসুস্থ থাকার পরও সাংবাদিকদের কাছে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে গুছিয়ে কথা বলেছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো ছিল না। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকা, ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।