Sylhet ০১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্নো তারকাকে ঘুস দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারাদণ্ড হতে পারে

পর্নো তারকাকে ঘুস দেওয়ার মামলায় এক নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে কারাদণ্ড হতে পারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোমবার (স্থানীয় সময়) বহুল আলোচিত ফৌজদারি মামলাটির শুনানি চলাকালে এমন সতর্কবার্তাই দিলেন বিচারক হুয়ান মারচান।

মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জুরি বোর্ডের সদস্য ও সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ট্রাম্পকে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিচারক।

রয়টার্স জানিয়েছে, এরই মধ্যে মামলার সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ট্রাম্পকে ৯ বারে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। সোমবারও একই ধরনের জরিমানা করা হয় তার।

বিচারক মারচান বলেছেন, আমি ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দিতে চাই না এবং এই দণ্ড দেওয়া এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু তিনি বারবার নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তাই এরপর আর জরিমানা নয়। ট্রাম্পকে কারাদাণ্ড দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি না করলে এই মামলার বিচার ব্যাহত হবে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জটিল করে তুলবে।

এদিকে, ট্রাম্প বলেছেন, আমি আদালতের কোনো নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আদালত যে জুরিবোর্ড গঠন করেছেন, তার ৯৫ শতাংশ সদস্যই ডেমোক্র্যাটপন্থি। আর বিচারক ইচ্ছা করে আমার কথা বলার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আদালতের এমন আচরণ সত্যিই বিস্ময়কর ও এর আগে কখনো এমন ঘটনা দেখা যায়নি। ২০০৬ সালে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন করেন ট্রাম্প। ওই বছর প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে অবৈধ উপায় বেছে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে ও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে ভুক্তভোগীকে চুপ করিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিকে, ট্রাম্প ও তার আইনজীবীরা রাষ্ট্রপক্ষের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে-তারেক জিয়া

পর্নো তারকাকে ঘুস দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারাদণ্ড হতে পারে

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

পর্নো তারকাকে ঘুস দেওয়ার মামলায় এক নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে কারাদণ্ড হতে পারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোমবার (স্থানীয় সময়) বহুল আলোচিত ফৌজদারি মামলাটির শুনানি চলাকালে এমন সতর্কবার্তাই দিলেন বিচারক হুয়ান মারচান।

মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জুরি বোর্ডের সদস্য ও সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ট্রাম্পকে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিচারক।

রয়টার্স জানিয়েছে, এরই মধ্যে মামলার সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ট্রাম্পকে ৯ বারে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। সোমবারও একই ধরনের জরিমানা করা হয় তার।

বিচারক মারচান বলেছেন, আমি ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দিতে চাই না এবং এই দণ্ড দেওয়া এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু তিনি বারবার নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তাই এরপর আর জরিমানা নয়। ট্রাম্পকে কারাদাণ্ড দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি না করলে এই মামলার বিচার ব্যাহত হবে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জটিল করে তুলবে।

এদিকে, ট্রাম্প বলেছেন, আমি আদালতের কোনো নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আদালত যে জুরিবোর্ড গঠন করেছেন, তার ৯৫ শতাংশ সদস্যই ডেমোক্র্যাটপন্থি। আর বিচারক ইচ্ছা করে আমার কথা বলার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আদালতের এমন আচরণ সত্যিই বিস্ময়কর ও এর আগে কখনো এমন ঘটনা দেখা যায়নি। ২০০৬ সালে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন করেন ট্রাম্প। ওই বছর প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে অবৈধ উপায় বেছে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে ও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে ভুক্তভোগীকে চুপ করিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিকে, ট্রাম্প ও তার আইনজীবীরা রাষ্ট্রপক্ষের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।