Sylhet ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে নদীতে গোসলে নেমে স্কুলপড়ুয়া ২ ভাইয়ের মৃত্যু

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার হাঁড়িধোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের নাম মাহাদী আহমেদ (১৪) ও মিশাল আহমেদ (৮)। তারা শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর কারারচর গ্রামের মুদিদোকানি ফরিদ আহমেদের ছেলে। তাঁরা দুজন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এলাকাবাসী ও মৃতের স্বজনেরা জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের দুই শিশুর সঙ্গে দুই ভাই হাঁড়িধোয়া নদীতে গোসল করতে যায়। চার শিশু নদীতে গোসলের একপর্যায়ে মিশাল পানিতে তলিয়ে যায়। তাকে খুঁজতে মাহাদী পানিতে ডুব দিলে একপর্যায়ে সে-ও তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভয় পেয়ে অন্য দুই শিশু দ্রুত তীরে উঠে চিৎকার করতে শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের দ্রুত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ‘ওই দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’

পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রোমান পাঠান বলেন, নদীতে ডুবে দুই ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি এসে দেখেন, শিশু দুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তিনিও সঙ্গে যান। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করলে লাশ দুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। একসঙ্গে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশু দুটির বাবা ফরিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ছেলে মাহাদী রোজা রেখেছিল। দুজন বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে নদীতে গোসল করতে যায়। আমি দোকানে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ফেরার আগেই দুই ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। একসঙ্গে দুই ছেলের মৃত্যুর ভার আমরা কীভাবে সইব?’

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি কেউ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে হবে-উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন

নরসিংদীতে নদীতে গোসলে নেমে স্কুলপড়ুয়া ২ ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার হাঁড়িধোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের নাম মাহাদী আহমেদ (১৪) ও মিশাল আহমেদ (৮)। তারা শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর কারারচর গ্রামের মুদিদোকানি ফরিদ আহমেদের ছেলে। তাঁরা দুজন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এলাকাবাসী ও মৃতের স্বজনেরা জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের দুই শিশুর সঙ্গে দুই ভাই হাঁড়িধোয়া নদীতে গোসল করতে যায়। চার শিশু নদীতে গোসলের একপর্যায়ে মিশাল পানিতে তলিয়ে যায়। তাকে খুঁজতে মাহাদী পানিতে ডুব দিলে একপর্যায়ে সে-ও তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভয় পেয়ে অন্য দুই শিশু দ্রুত তীরে উঠে চিৎকার করতে শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের দ্রুত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ‘ওই দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’

পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রোমান পাঠান বলেন, নদীতে ডুবে দুই ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি এসে দেখেন, শিশু দুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তিনিও সঙ্গে যান। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করলে লাশ দুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। একসঙ্গে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশু দুটির বাবা ফরিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ছেলে মাহাদী রোজা রেখেছিল। দুজন বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে নদীতে গোসল করতে যায়। আমি দোকানে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ফেরার আগেই দুই ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। একসঙ্গে দুই ছেলের মৃত্যুর ভার আমরা কীভাবে সইব?’

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি কেউ।