সারাদেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের বোরোধান ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর দুই দফায় নবীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা, গজনাইপুর, দেবপাড়া ও পানিউমদা ইউনিয়নসহ অধিকাংশ এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টি স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় ২০ মিনিটের মতো। একেকটা শিলার ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়িঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের টিনের এমন পরিণতি হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের জয়নাল মিয়া জানান- প্রচন্ড গরমের মধ্যে হঠাৎ আকস্মিকভাবে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়, আমার ঘরের অধিকাংশ টিন ছিদ্র হয়ে ঘরের ভিতরেও শিলা পড়ে আমার আশপাশের ৩০-৪০টি বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই গ্রামের মীরটিলা এলাকার ওয়াহিদ মিয়া বলেন- প্রতিদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনের একাধিক ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি, সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো একটু উপকার হতো।
নবীগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান- শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের টিনে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ঘরে এখন পানি পড়ে, এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাবো।
দেবপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দেবপাড়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন- আমার ফসলের পাকাধান ভেবেছিলাম ২-১ দিনের ভিতরে ফসল ঘরে উঠাবো, কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে ৬৫-৭০ ভাগ পাকা ধান ঝড়ে পড়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক চৌধুরী মনি বলেন- হাওরের অধিকাংশ ধান কাটা শেষ, তবে যাদের ধান হাওরে রয়ে গেছে শিলাবৃষ্টিতে তাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। উল্লেখ্য-নবীগঞ্জ উপজেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।