সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় চাঞ্চল্যকর দুই ইজিবাইক চালক হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১১ টায় আসামিদের ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ আলী ফরিদ আহমেদ। তবে আসামিদের নাম ও হত্যাকা- কীভাবে সংগঠিত হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে রাজি হন নি সহাকারী পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইজিবাইক চালক সাইকুল ইসলাম ইসলাম ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কারি মিয়া খানের ছেলে। গত ৮ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে সাইকুল নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই সাইকুল ও তার ইজিবাইকের কোনো সন্ধ্যান মেলেনি। এ ঘটনায় সাইকুলের বাবা পরদিন ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটার দিকে সাইকুলের পাশর্^বর্তী গ্রামের এক ধান ক্ষেত থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরহেদ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর সাইকুলের পরিবার ওই মরদেহকে সাইকুলের বলে দাবি করেন।
ময়নাতদন্তের পর পুলিশ ওই মরদেহ সাইকুলের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরে সাইকুলের পরিবার ওই মরদেহ দাফন করে। এর দশ দিন পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের সামনে নিমাইকোনা বিলের একটি ধান ক্ষেত থেকে মানবদেহের খুলিসহ কিছু হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর হুমায়ূনের পরিবার আলামত দেখে খুলি-হাড় হুমায়ূনের বলে দাবি করে। পরে হুমায়ূনের পরিবারের কাছে খুলিসহ হাড় হস্তান্তর করা হয়। সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে হুমায়ূন গত ১৫ মার্চ ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয়েছিল।
দুপুর ১২ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস বললেন, এই ঘটনায় দুপুরেই সংবাদ সম্মেলন করবেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক ও একটি ইজিবাইকের ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়েছে।