২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য ১৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা বেশি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুদকের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ১৫৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। প্রস্তাবিত চলতি বাজেটে দুদকের পরিচালন খাতে ১৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দুর্নীতি দমনে ডিজিটাল আর্কাইভস, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইপিএমএস) চালু করা হয়েছে।
পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমাজের সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫০৪টি ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ‘গণশুনানি’ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সততা চর্চা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিক্রেতাবিহীন ৬ হাজার ৬৩৮টি ‘সততা স্টোর’ চালু করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।