দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ৩ লাখ মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ৫০ শয্যার হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আট বছর চলে গেলেও আজ পর্যন্ত অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। ৭০টি শূন্যপদ নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে হাওরপাড়ের এই হাসপাতালটি। ফলে কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়সহ ১৭৩টির মধ্যে ৭০টি পদ শূন্য। প্রতি মাসে অন্তত ১৫টি সিজার হওয়ার কথা থাকলেও সার্জারি গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সার্জারি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেনারেটর নষ্ট হয়ে আছে। যার কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। ২৫ বছর ধরে অকেজো এক্সরে মেশিন। ফলে রোগীদের বাইরে থেকে এক্সরে করিয়ে আনতে হয়।
হাসপাতালে কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বললে তারা জানান, এটা শুধু নামেই ৫০ শয্যার হাসপাতাল। ২০-২২ বছর আগে যেভাবে ছিল এখনো সেভাবেই আছে। আগের পুরান ভবনে গাদাগাদি করে সিটে ও বারান্দায় রোগীরা ভর্তি থাকেন। অবকাঠামো ও জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরতরা দায়সারা সেবা দিয়ে থাকেন। আট বছর আগে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে আমাদের হাসপাতালকে ৩০ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করলেও আজ পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমরা হাওরবাসী অনেক বড় বড় নেতার জন্ম দিলেও স্বাধীনতার এতো বছরেও আমরা কাক্সিক্ষত উন্নয়ন পাইনি। চিকিৎসা, যোগাযোগ, কৃষি, শিক্ষাসহ সবদিকেই আমরা পিছিয়ে। জানিনা হাওরবাসীর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন কবে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত বলেন, চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ ৭০টি পদ শূন্য রয়েছে। যার কারণে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনার জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল প্রদান, এক্সরে মেশিন সচলসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বার বার কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।
সংবাদ শিরোনাম :
দিরাই স্বাস্থ্য কমপেক্ম নামই হাসপাতাল, নেই স্বাস্থ্যসেবা
- সিলেট ভিশন ডেস্ক
- প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
- ১২৭
জনপ্রিয় সংবাদ