Sylhet ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ড বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করতে যাচ্ছে

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৭

থাইল্যান্ড সরকার বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীদের থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে এই সুবিধা পেতে পারেন বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা।

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ই-ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবে। এ সুবিধা থাইল্যান্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে তাদের ৬৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক আরও বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সুবিধা চালু করা হবে। গত এপ্রিলে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চুক্তি আগামী ১৯ ডিসেম্বর তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি গত ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা নেওয়ার সময়  ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা (ডিটিভি) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিচর্যাকারীর ভিসাসহ এ ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদী এবং প্রতি ভ্রমণ ছয় মাস মেয়াদী। এক্ষেত্রে থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে না বলে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত উল্লেখ করেন যে, ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের মধ্যে নকল বা মিথ্যা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন এবং যদি তারা কোনও এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে এজেন্ট সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন যে, এ ধরণের প্রবণতা বজায় থাকলে থাই কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার

থাইল্যান্ড বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করতে যাচ্ছে

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

থাইল্যান্ড সরকার বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীদের থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে এই সুবিধা পেতে পারেন বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা।

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ই-ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবে। এ সুবিধা থাইল্যান্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে তাদের ৬৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক আরও বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সুবিধা চালু করা হবে। গত এপ্রিলে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চুক্তি আগামী ১৯ ডিসেম্বর তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি গত ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা নেওয়ার সময়  ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা (ডিটিভি) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিচর্যাকারীর ভিসাসহ এ ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদী এবং প্রতি ভ্রমণ ছয় মাস মেয়াদী। এক্ষেত্রে থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে না বলে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত উল্লেখ করেন যে, ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের মধ্যে নকল বা মিথ্যা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন এবং যদি তারা কোনও এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে এজেন্ট সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন যে, এ ধরণের প্রবণতা বজায় থাকলে থাই কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হবে।