টুর্নামেন্টে ফাইনালের আগে ৭৫ বলে ৭৫ রান করে চাপে ছিলেন কোহলি। ফাইনালে শুরুটা আক্রমণাত্মক করলেও অন্যপ্রান্তে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার এক প্রান্ত ধরে রাখেন কোহলি। এ ইনিংসের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।
সে পুরস্কার নিতে এসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হার্শা ভোগলেকে কোহলি বলেন, ‘এটা আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এটি আমরা অর্জন করতে চেয়েছি। একদিন আপনার মনে হবে রানই করতে পারছেন না, তারপরে কিছু ঘটবে। ঈশ্বর মহান। এবং যে দিন গুরুত্বপূর্ণ, আমি দলের কাজটি করেছি। এখন অথবা কখনোই নয়-ভারতের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি—সবটুকু কাজে লাগাতে চেয়েছি।’
আদতেই কোহলি এমন ঘোষণা দিলেন কি না, ভোগলে সেটি নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। কোহলি সেটি নিশ্চিত করে জানান, এখন পরবর্তী প্রজন্মের এগিয়ে আসার পালা। কোহলি বলেন, ‘ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে চেয়েছি। পরিস্থিতিকে সম্মান জানাতে চেয়েছি জোর করার চেয়ে। এটা (অবসর) “ওপেন সিক্রেট” ছিল, এখন পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নেওয়ার পালা। দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দলকে এগিয়ে নেবে এবং পতাকা উঁচু করে ধরবে।’
২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ সংস্করণে অবসর নেওয়া কোহলি ক্যারিয়ারে ১২৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪১৮৮ রান। রোহিত শর্মার পর এ সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৪৮.৬৯ গড় ও ১৩৭.০৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা কোহলি ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০টি ম্যাচে।