টাংগুয়ার হাওর থেকে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ৯টি নৌকায় থাকা ১ হাজার ৬ শত ১১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে গোলাম মোস্তফা (৪০) নামে এক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মোতালিব মড়লের ছেলে।
মঙ্গলবার( ১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওরে তেকুনিয়া নামক বিল থেকে আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)অতীশ দর্শী চাকমা ও মধ্যনগর থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা ৩টি নৌকা থেকে চোরাই পথে আনা ৬১১ বস্তা ও মধ্যনগর থানা পুলিশ ৬ টি নৌকা থেকে ১হাজার বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানীরা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের মাটিয়ারবন্দ সীমান্ত, বাঙ্গালভিটা সীমান্ত, কড়ইবাড়ি সীমান্ত, গঙ্গানগর সীমান্ত ও মহিষখলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে মদ, গাজা, চিনি, পেয়াজসহ ভারতীয় বিভিন্ন চোরাচালানের পণ্য নৌপথে টাংগুয়ার হাওর, শালদিঘা বিলের ঘাটে আসে। এরপর সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলি দিয়ে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণের হামিদপুর চৌরাস্তা, চামরদানী ইউনিয়ন হয়ে মধ্যনগর সদরে ও মধ্যনগর মহিষখলা সড়কে হয়ে কখনও বা মহিষখলা থেকেই কালাগড় সড়ক হয়ে পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলায় এসব পণ্য পাঠানো হয়।
এছাড়া অবৈধ পথে ভারত থেকে চোরাই পন্য মহিষখলা মধ্যনগর সড়ক হয়ে চামরদানী ইউনিয়নের কায়েতকান্দা নদীর ঘাটে পৌঁছালে সেখান থেকে নৌপথে মধ্যনগরে সদর ইউনিয়নের গলইখালী ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ট্রাকে অথবা পিকআপ ভ্যানে করে পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা-বারহাট্টা রোডে দেশের বিভিন্ন জায়গার বেপারীদের কাছে পাঠানো হয়।
মধ্যনগর থানার ওসি (তদন্ত)মোর্শেদ আলম জানান, অবৈধ ভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালানের খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালাই এবং ১০০০ বস্তা চিনি জব্দ করেছি। এসময় আমরা একজন চোরাকারবারিকে আটক করেছি। আটককৃত চোরাকারবারির বিরুদ্ধে চোরাচালান মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৬১১ বস্তা চিনি জব্দ করেছি। জব্দকৃত চিনিগুলো পুলিশেকে বুঝিয়ে দিয়ে নিয়মিত মামলা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।