আগামী বছরের জুলাই থেকে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না, তাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব বোর্ডের মিলনায়তনে শুল্কের আধুনিকায়নে চার বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা ও বাণিজ্য সহজীকরণে আমদানি-রপ্তানি হাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনলাইন রিটার্ন জমা দেওয়ার সমস্যাগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলোর সমাধান করা হবে। সমস্যা সমাধান করে আগামী বছরের জুলাই থেকে অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারা এসেছে। গত ছয় মাসে রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে ৭ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে। সামনে এগিয়ে যেতে নেতিবাচক বিষয় সরিয়ে ফেলতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আগামী চার বছরের জন্য শুল্কের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ গতি পাবে, বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। আর কার্যক্ষমতা বাড়বে এনবিআর কর্মকর্তাদের।
এ সময় এনবিআর কাস্টমসকে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে আমদানি-রপ্তানি হাব চালু করে। যার মাধ্যমে কাস্টমসের ওয়েবসাইটে আমদানি ও রপ্তানির কাগজপত্র ও কমপ্লায়েন্সসহ ডিউটি কত তা জানা যাবে। যা কাস্টমসের ওয়েবসাইটে আমদানি-রপ্তানির তথ্য তুলে ধরবে।
উল্লেখ্য, আয়কর রিটার্ন জমা মূলত দুই শ্রেণির মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রথমত, যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে, তার এর আওতায় পড়েছেন। অর্থ্যাৎ জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত তার আয়ের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি, তা;এর রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আর দ্বিতীয় শ্রেণি হল, কোনো ব্যক্তির আয় নির্দিষ্ট পরিমাণ না হলেও কিছু সেবা নেওয়ার জন্য তাকে রিটার্ন জমা দিতে হয়। তিনি জিরো বা শূন্য রিটার্ন দেবেন। অর্থ্যাৎ তিনি রিটার্ন জমা দিলেও তার কোন কর দিতে হবে না।