সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর ) জগন্নাথপুুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া নলুয়ার হাওরের ভুরাখালি স্লুইসগেট নামক এলাকায় ৪ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) উদ্বোধন করেন জগন্নাথপুরের ইউএনও বরকত উল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
পরে কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ইউএনও বরকত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীলের পরিচালনায় বক্তব্য উদ্বোধনীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সদস্য জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহল আমীন, উপজেলাে মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল হাসিম ডালিম, দৈনিক নয়া দিগন্তের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, ৪ নম্বর পিআইসি কমিটির সভাপতি নোমান আহমদ জুয়েল ও কৃষক সাজন মিয়া।
উদ্বোধনী চার নম্বর প্রকল্পের সভাপতি নোমান জানান, আজকের বেড়িবাঁধের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। পাউবোর নীতিমালা অনুয়ায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রকল্পের ২৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, জগন্নাথপুরে এবার গেল বছরের তুলনায় হাওরের প্রকল্প সংখ্যা ও অর্থ বরাদ্দ বেশি পাওয়া গেছে। এবছর ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ক কমিটি (সিআইসি) সংখ্যা ৩৯টি। গেল বছর এ উপজেলায় প্রকল্প সংখ্যা ছিল ৩৩টি। অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৫ কোটি টাকা।
জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক কার্য়ালঢের প্রধান উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে জগন্নাথপুরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ ও প্রকল্প বেড়েছে। তিন দফা বন্যার কারণে হাওরে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়াতে বেড়েছে বরাদ্দ ও প্রকল্প।
কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ইউএনও বরকত উল্লাহ জানান, নীতিমালা অনুযায়ী হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ করতে হবে। হাওরে কোন ধরণের অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।