Sylhet ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জনদূর্ভোগ চরমে

জগন্নাথপুরে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্রামীণ সড়ক এখনও অচল

জগন্নাথপুরে ভারি বর্ষণ ও ঢলের পানিতে বিপর্যস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো প্রায় মাসখানেক ধরে অচল হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক দিয়ে লাখো মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছিলেন। সড়কগুলো সচল না হওয়ায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ৭ জুন থেকে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নলজুর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক ডুবে যায়। এরপর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও সৈয়দপুর-শাহাপাড়া ইউনিয়নের একাংশের প্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া পাটলী ইউনিয়নের লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল-চন্ডিঢর সড়ক, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ভবেরবাজার-নয়াবন্দর সড়ক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর-দাওরাই সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই সব সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। গত ১৮ জুন ঢলের পানিতে এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে ওই ৬ ইউনিয়নের প্রায় দেড়শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে জগন্নাথপুর পৌরসভার হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ডুবে যাওয়ায় ওই সেতু দিয়ে গত ১২ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যান চলাচলে বাড়তি চাপ বেড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মুনাঈম আহমদ বলেন, প্রায় একমাস যাবৎ জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে আছে। আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। মানুষজনও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সামী আহমদ বলেন, সড়কে পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহবার হোসেন বলেন, বন্যার কারণে ওই সব সড়কের অনেক অংশে এখনো পানি রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। পানি নেমে গেলে দ্রুতই মেরামত কাজের ব্যবস্থা করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জমিয়ত প্রার্থী সৈয়দ তালহা

জনদূর্ভোগ চরমে

জগন্নাথপুরে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্রামীণ সড়ক এখনও অচল

প্রকাশের সময় : ১২:৩০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

জগন্নাথপুরে ভারি বর্ষণ ও ঢলের পানিতে বিপর্যস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো প্রায় মাসখানেক ধরে অচল হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক দিয়ে লাখো মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছিলেন। সড়কগুলো সচল না হওয়ায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ৭ জুন থেকে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নলজুর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক ডুবে যায়। এরপর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও সৈয়দপুর-শাহাপাড়া ইউনিয়নের একাংশের প্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া পাটলী ইউনিয়নের লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল-চন্ডিঢর সড়ক, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ভবেরবাজার-নয়াবন্দর সড়ক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর-দাওরাই সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই সব সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। গত ১৮ জুন ঢলের পানিতে এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে ওই ৬ ইউনিয়নের প্রায় দেড়শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে জগন্নাথপুর পৌরসভার হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ডুবে যাওয়ায় ওই সেতু দিয়ে গত ১২ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যান চলাচলে বাড়তি চাপ বেড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মুনাঈম আহমদ বলেন, প্রায় একমাস যাবৎ জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে আছে। আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। মানুষজনও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সামী আহমদ বলেন, সড়কে পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহবার হোসেন বলেন, বন্যার কারণে ওই সব সড়কের অনেক অংশে এখনো পানি রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। পানি নেমে গেলে দ্রুতই মেরামত কাজের ব্যবস্থা করা হবে।