Sylhet ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় তিন পরিবারকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লেকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি (রাবার বুলেট) নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত সবার এবং আটককৃতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

গুরুতর আহতরা হলেন- খুরমা গ্রামের জোহান (২০),  ফাহিম (২০), তারেক (২০), সালামত (৫০), নজমুল ইসলাম মিলাদ (৩৫), মুনতাহা (১৫), লিয়াকত আলী (৩০), ফরিদ মিয়া (৩০), সহ আরও ৪০-৫০ জন।

রোববার সকালে ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না, ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলম ও থানার তদন্ত অফিসার সুহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ রমজান  আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজল (২২) এর সাথে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদ (৩৫) এর মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেড়ে তাড়াবীর নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বী আব্দুল খালিককে (৪৫) জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর ও আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই তিন পরিবারের লোকজনদের পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়ার ঘোষনা দেন।

এর পর গতকাল শনিবার রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতের মুরব্বি আব্দুল খালিককে বিষয়টি জানালে আব্দুল খালিক তার সাথের লোকজনদের সাথে নিয়া মহব্বতপুরে গিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছ তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চান। এসময় খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না এবং আফ্রোজ আলী গ্রামের লোকজনদেরকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়ে মানুষকে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হন।

ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‌‌খবর পেয়ে অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ১৫ রাউন্ড শর্টগানের রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় তিন পরিবারকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লেকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি (রাবার বুলেট) নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত সবার এবং আটককৃতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

গুরুতর আহতরা হলেন- খুরমা গ্রামের জোহান (২০),  ফাহিম (২০), তারেক (২০), সালামত (৫০), নজমুল ইসলাম মিলাদ (৩৫), মুনতাহা (১৫), লিয়াকত আলী (৩০), ফরিদ মিয়া (৩০), সহ আরও ৪০-৫০ জন।

রোববার সকালে ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না, ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলম ও থানার তদন্ত অফিসার সুহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ রমজান  আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজল (২২) এর সাথে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদ (৩৫) এর মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেড়ে তাড়াবীর নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বী আব্দুল খালিককে (৪৫) জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর ও আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই তিন পরিবারের লোকজনদের পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়ার ঘোষনা দেন।

এর পর গতকাল শনিবার রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতের মুরব্বি আব্দুল খালিককে বিষয়টি জানালে আব্দুল খালিক তার সাথের লোকজনদের সাথে নিয়া মহব্বতপুরে গিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছ তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চান। এসময় খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না এবং আফ্রোজ আলী গ্রামের লোকজনদেরকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়ে মানুষকে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হন।

ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‌‌খবর পেয়ে অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ১৫ রাউন্ড শর্টগানের রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।