Sylhet ০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারের বাজেট মানুষের জীবনকে উন্নত করবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। সেখানে আমরা সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। এবারের বাজেটে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, দেশীয় শিল্প ও সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো মানুষের জীবনকে উন্নত করবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বসে বসে হিসাব কষে। আগে এত পার্সেন্ট বেড়েছে, এবার কম পার্সেন্ট বাড়ল? কেন? এখন সীমিতভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। মানুষের যে চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বাজেট করেছি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছয়দফা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যে ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের যা প্রয়োজন সেখানে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। খাদ্যপণ্য, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, ক্যানসার, ডায়ালাইসিসের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দিয়ে একদিকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, দেশীয় শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ, কাঁচামালসহ এসব বিষয়ে সুরক্ষা দিয়েছি ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।

অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেট দেওয়া হয়েছে উল্লে­খ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি জানি কারো ভালো লাগে, কারো ভালো লাগে না। নিত্যপণ্য যেমন- ল্যাপটপের দাম কমবে, ক্ষুদ্র-মাঝারি যন্ত্রাংশের দাম কমবে। বাজেট ঘাটতি নিয়েও অনেকে কথা বলে। আমি সরকারে আসার পর, এটি ২১তম বাজেট দিলাম। সবসময় আমরা ৫ শতাংশ বাজেট ঘাটতি রাখি। এবারও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ রাখা হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি উন্নত দেশেও আছে। আমেরিকায় খবর নেন বাজেট ঘাটতি কত। উন্নত দেশেও এরচেয়ে বেশি বাজেট ঘাটতি থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিশেষ করে খাদ্য মূল্য, সেখানে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বৃষ্টির কারণে যেমন আলুর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে, তো এই রকম অনেক কিছুই আছে। আমরা এখনো উৎপাদনমুখী হলে খাদ্যে কোনো দিন অভাব হবে না। বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালার মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

এবারের বাজেট মানুষের জীবনকে উন্নত করবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। সেখানে আমরা সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। এবারের বাজেটে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, দেশীয় শিল্প ও সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো মানুষের জীবনকে উন্নত করবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বসে বসে হিসাব কষে। আগে এত পার্সেন্ট বেড়েছে, এবার কম পার্সেন্ট বাড়ল? কেন? এখন সীমিতভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। মানুষের যে চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বাজেট করেছি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছয়দফা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যে ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের যা প্রয়োজন সেখানে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। খাদ্যপণ্য, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, ক্যানসার, ডায়ালাইসিসের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দিয়ে একদিকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, দেশীয় শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ, কাঁচামালসহ এসব বিষয়ে সুরক্ষা দিয়েছি ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।

অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেট দেওয়া হয়েছে উল্লে­খ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি জানি কারো ভালো লাগে, কারো ভালো লাগে না। নিত্যপণ্য যেমন- ল্যাপটপের দাম কমবে, ক্ষুদ্র-মাঝারি যন্ত্রাংশের দাম কমবে। বাজেট ঘাটতি নিয়েও অনেকে কথা বলে। আমি সরকারে আসার পর, এটি ২১তম বাজেট দিলাম। সবসময় আমরা ৫ শতাংশ বাজেট ঘাটতি রাখি। এবারও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ রাখা হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি উন্নত দেশেও আছে। আমেরিকায় খবর নেন বাজেট ঘাটতি কত। উন্নত দেশেও এরচেয়ে বেশি বাজেট ঘাটতি থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিশেষ করে খাদ্য মূল্য, সেখানে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বৃষ্টির কারণে যেমন আলুর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে, তো এই রকম অনেক কিছুই আছে। আমরা এখনো উৎপাদনমুখী হলে খাদ্যে কোনো দিন অভাব হবে না। বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালার মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।