Sylhet ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপস্থিতি নগন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করা হবে

১০ বছর ধরে অতি নগণ্য শিক্ষার্থী নিয়ে চলা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে পাশের অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে এই ধরনের ৩০০-এর মতো বিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় বাস্তবতার নিরীখে একীভূত করার কাজ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই (ইন জেনারেল) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। স্থানীয় বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও পারিপাশ্বিকতা—সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত থেকে আট। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা আছে ৩০০-এর কাছাকাছি। এই বিদ্যালয়গুলোকে একীভূত করে দেওয়া হবে। যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে ১০ বছর ধরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী অন্য ভালো বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই, যে বিদ্যালয়গুলোয় ৫ জন, ১০ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে একীভূত করে দেব। আর যে বিদ্যালয়গুলোর চাহিদা আছে, সেই বিদ্যালয়গুলোয় যা যা সুবিধা দেওয়ার, আমরা সেগুলো দেব।’

পরে এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদ আহাম্মদ এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্য দেন। তাঁর ব্যাখ্যার মূল কথা হলো, ৫০-এর নিচে শিক্ষার্থী থাকা সব বিদ্যালয়কেই একীভূত করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে এই কাজ করা হবে। তিনি বলেন, ৩০০-এর কাছাকাছি বিদ্যালয়ের তালিকা পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত ১০ বছরের প্রবণতাটি দেখা হবে।

তবে এই ধরনের সব বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে না। এ বিষয়ে ফরিদ আহাম্মদ উদাহরণ দিয়ে বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২। কয়েক বছর ধরেই এ সংখ্যা ৪২। কিন্তু এই বিদ্যালয় একীভূত করা হবে না। কারণ, এই ৪২ জন শিক্ষার্থী ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের জায়গার মধ্যে থেকে আসে। ওই প্রেক্ষাপটটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

উপস্থিতি নগন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করা হবে

প্রকাশের সময় : ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

১০ বছর ধরে অতি নগণ্য শিক্ষার্থী নিয়ে চলা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে পাশের অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে এই ধরনের ৩০০-এর মতো বিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় বাস্তবতার নিরীখে একীভূত করার কাজ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই (ইন জেনারেল) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। স্থানীয় বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও পারিপাশ্বিকতা—সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত থেকে আট। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা আছে ৩০০-এর কাছাকাছি। এই বিদ্যালয়গুলোকে একীভূত করে দেওয়া হবে। যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে ১০ বছর ধরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী অন্য ভালো বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই, যে বিদ্যালয়গুলোয় ৫ জন, ১০ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে একীভূত করে দেব। আর যে বিদ্যালয়গুলোর চাহিদা আছে, সেই বিদ্যালয়গুলোয় যা যা সুবিধা দেওয়ার, আমরা সেগুলো দেব।’

পরে এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদ আহাম্মদ এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্য দেন। তাঁর ব্যাখ্যার মূল কথা হলো, ৫০-এর নিচে শিক্ষার্থী থাকা সব বিদ্যালয়কেই একীভূত করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে এই কাজ করা হবে। তিনি বলেন, ৩০০-এর কাছাকাছি বিদ্যালয়ের তালিকা পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত ১০ বছরের প্রবণতাটি দেখা হবে।

তবে এই ধরনের সব বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে না। এ বিষয়ে ফরিদ আহাম্মদ উদাহরণ দিয়ে বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২। কয়েক বছর ধরেই এ সংখ্যা ৪২। কিন্তু এই বিদ্যালয় একীভূত করা হবে না। কারণ, এই ৪২ জন শিক্ষার্থী ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের জায়গার মধ্যে থেকে আসে। ওই প্রেক্ষাপটটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।