আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২০ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
দুটি বিধিমালায় একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে, আগে আটের এক ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাতিলের বিধান ছিল, সেটা কমিয়ে পনেরো ভাগের এক ভাগ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের বিধান তুলে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ লাখ ও মহিলা সদস্য পদে ব্যয় এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ভোটার সংখ্যার অনুপাতে ব্যয়সীমা নির্ধারণ হতো।
নতুন বিধিমালায় অনিয়ম হলে ভোট বন্ধের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে, ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা পেয়েছে কমিশনেরও। এছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন জমার প্রত্যয়ন ও টিআইএন নম্বর দিতে হবে।
এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের আগে ডিজিটাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ রাখা হয়েছে। পরিচিত হতে জনসংযোগের সুযোগও রাখা হয়েছে। জনসভা, সভার মতো প্রচারে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতির বিধান আনা হয়েছে।
অন্যদিকে রঙিন পোস্টার, নির্বাচনী ক্যাম্পের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা ছাড়াও প্রচারে মাইকের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। আইন মন্ত্রণালয়ের সায় পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিধিমালা দুটির সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ইতিমধ্যে আগামী ৪, ১৮ ও ২৫ মে এবং ১ জুন দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে নতুন নিয়মেই হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এতোদিন বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপনের ওপর আটকে ছিল বিস্তারিত তফসিল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।